বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চও দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
৬ নভেম্বর সোমবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
মানুষ সকল ধরনের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, সন্ত্রাস মোকাবিলা করে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে স্বপন বলেন, ‘আগামীকাল ৭ তারিখ আন্দোলনের কর্মসূচির বাইরে রেখে ৮ এবং ৯ তারিখ আবারও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পথে হাঁটতে গেলে সবার আগে যে সংস্কার করতে হবে, সেটা হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারার মতো একটা সংস্কার প্রয়োজন। এটার জন্য প্রথমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সমগ্র আন্দোলনের ওপর সরকার ক্র্যাক ডাউন চালিয়েছে। শত শত পুলিশের সামনে বাসে আগুন দিয়ে চলে যাচ্ছে। এসব করে সরকার বিরোধীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে, যেন তারা মাঠে নামতে না পারে। মূলত সরকার একটা একতরফা নির্বাচন করার জন্যই এসব করছে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু অনেক আগেই ঘটেছে। তাই বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে তারা পারছে না। তাই জঙ্গিবাদী কায়দায় বিরোধীদের দমন-পীড়ন করে ক্ষমতা দখলের রাখার পরিকল্পনা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।
ঠিকানা/এনআই